সুভা গল্পের MCQ

Shuva Golper MCQ

সর্বশেষ আপডেটঃ

/

ক্যাটাগরিঃ

,

সুভা গল্পের MCQ পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর দিন সজই। বিগত সালের উচ্চ মাধ্যমিক এবং চাকরির পরীক্ষাগুলোতে সুভা গল্প থেকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এসেছে। তাই আপনারা যারা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তারা সুভা গল্প সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি সুভা গল্পের MCQ নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল। 

সুভা গল্পের পাঠ পরিচিতি 

সুভা গল্পটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত “গল্পগুচ্ছ” থেকে সংকলন করা হয়েছে। বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরী সুভার প্রতি লেখকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাস ও মমত্ববোধ গল্পটিতে অমর হয়ে আছে। সুভা কথা বলতে পারে না। তার মা মনে করেন এ যেন তার নিয়তির দোষ, কিন্তু তার বাবা তাকে অনেক ভালোবাসেন। আর কেউ তার সাথে মিশতে চায় না, খেলতে চায় না। সে অনেক একা থাকে। কিন্তু তার একটি বিশাল আশ্রয়ের জগৎ রয়েছে। যারা মানুষের মত করে কথা বলতে পারে না সেই প্রাণীদের কাছে সে মুখর। তাদের কাছে সে খুবই আপনজন। আর বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে সে মুখর এবং তাদের কাছে সে খুবই কাছের একজন। আর বিপুল নির্বাক প্রকৃতির কাছে সে পায় মুক্তির আনন্দ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূলত প্রতিবন্ধী মানুষের আশ্রয়ের জন্য একটি জগৎ তৈরি করেছেন এবং সেই সাথে তাদের আমাদের মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটাতে চেয়েছেন।  

সুভা গল্পের লেখক পরিচিতি 

সুভা গল্পের রচিয়তা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দের ৭ ই মে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতার নাম সারদা দেবী। বিশ্বকবি অভিধায় সম্ভাষিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ছোট গল্পের উদ্ভব, বিকাশ, ও সমৃদ্ধি ঘটেছে। তাঁর ছোট গল্প বিশ্ব সাহিত্যের শেষ্ঠ ছোটগল্পগুলোর সমতুল্য। ১২৮৪ বঙ্গাব্দে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ‘ভিখারিনী’ গল্প রচনার মাধ্যেমে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৪ বছরে তিনি অখন্ড ‘গল্পগুচ্ছে’ সংকলিত ৯৫ টি ছোটগল্প রচনা করেছেন। এর বাইরে ‘সে’ গল্পস্বল্প এবং লিপিকা’ তার আরও গল্প সংকলিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ রচিত গল্পটির নাম ‘মুসলমানীর গল্প’। গল্পকার হিসেবে তিনি যেমন বরণ্য, ঔপন্যাসিক হিসেবেও বাংলা সাহিত্যে তার স্থান সুনির্দিষ্ট। তার রচিত উপন্যাস গুলো হলোঃ ‘চোখের বালি, গোরা, চতুরঙ্গ, ঘরে-বাইরে, শেষের কবিতা, যোগাযোগ ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি অনেক নাটক রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলোঃ রাজা, অচলায়তন, ডাকঘর, মুক্তধারা, রক্তকরবী ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৪১ সালের ৭ ই আগস্ট কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। 

সুভা গল্পের MCQ সমূহ 

এইচএসসি পরীক্ষা ও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি সরূপ “সুভা” গল্প থেকে MCQ পড়ে রাখা প্রয়োজন। আপনারা যারা এ বছর স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তারা “সুভা” এই গল্প থেকে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন-উত্তরগুলো পড়ে জেনে রাখতে পারেন। নিচে সুভা গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তরগুলো দেখে নিন-

কার সাক্ষাতের কারণে সবাই তার নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে?

উত্তর: সুভার। 

যে সে বিধাতার অভিশাপরূপে জন্মগ্রহণ করেছে বলে মনে করেন কে বুঝেছে?

উত্তর: সুভার মা। 

সুভার পরিবার অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কেমন ছিল?

উত্তর: সচ্ছল। 

ছিপ ফেলে মাছ ধরা কার প্রধান শখ ছিল? 

উত্তর: প্রতাপের। 

কত সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন? 

উত্তর: ১৮৬১ সালে। 

‘সুভা’ গল্পের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কোনটি? 

উত্তর: প্রতিবন্ধী সন্তানের প্রতি সহানুভূতি।

‘সুভা’ গল্পের সুভা কোন ধরনের প্রতিবন্ধী? 

উত্তর: বাক্প্রতিবন্ধী। 

সর্বশেষ রচিত গল্পের নাম কি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের? 

উত্তর: মুসলমানীর গল্প।

সুভাষিণী নামটি সার্থক কেন হয়নি?

উত্তর: নির্বাক বলে। 

সুভা বের হয়ে চিরপরিচিত নদী তটে লুটিয়ে পড়ল কখন ? 

উত্তর: শুক্লাদ্বাদশীর রাতে। 

কার কাছে সুভা মুক্তির আনন্দ পায়?

উত্তর: নির্বাক প্রকৃতি। 

“বাণীকণ্ঠ” ঘুম থেকে উঠে শােবার ঘরে কী খাচ্ছিল?

উত্তর: তামাক। 

শেষের কবিতা’ কোন প্রকৃতির রচনা?

উত্তর: উপন্যাস। 

প্রতাপের ছিপ ফেলিয়া মাছ ধরা প্রধান শখ ছিল তার কারণ কী?

উত্তর: সহজে সময় কাটানাের জন্য। 

সুভা দুই হাত বাড়িয়ে বলতে চায় তুমি আমাকে যাইতে দিয়াে নামা, – কোন দিনের ঘটনা?

উত্তর:  শুক্কাদ্বাদশীর রাত্রি। 

কাকে মর্মবিদ্ধ হরিণীর সাথে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: সুভাকে। 

শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন ধরনের রচনা-? 

উত্তর: উপন্যাস।

মধ্যাহ্নে মাঝিরা যেত কোথায়? 

উত্তর: খাবার খেতে। 

সুভার গা কে চাটত?

উত্তর: পাঙ্গুলি। 

কাদের মধ্যে সমভাষা ছিল না?

উত্তর: সুভা ও প্রতাপের মধ্য সমভাষা ছিল না।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি গ্রন্থের নাম লেখ?

উত্তর: বিচিত্র প্রবন্ধ। 

‘সুভা’ গল্পের শেষাংশে নদীতটে সুভার লুটিয়ে পড়া কী নির্দেশ করেছিল?

উত্তর: আপন আশ্রয়কে আঁকড়ে থাকার চেষ্টা। 

সুভার বড় বােন কয়টি  ছিল?

উত্তর: দুইটি। 

বিজন মূর্তি –বলতে কী বোঝানো হয়েছে? 

উত্তর: নির্জন অবস্থা। 

‘গৃহস্থ ঘরের মেয়েটির মত এই উপমা দ্বারা বলতে এখানে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর: সুভাদের গ্রামের নদীটির উপকারিতা বোঝানো হয়েছে। 

সুভা’ গল্পের পটভূমি কী-?

উত্তর: বাকপ্রতিবন্ধী কিশােরীর জীবন ব্যবস্থা। 

সুভা গল্পটির মেয়েটির নাম কী রাখা হয়েছিল?

উত্তর: সুভাষিণী।

“তখন কে জানিত সে বোবা হইবে” এখানে কার কথা বলা হয়েছে? 

উত্তর: সুভাষিণীর বাবার। 

সুভাষিণীর  বাবা কিসের ভিত্তিতে ছোট মেয়েটির নামটি রাখেন সুভাষিণী? 

উত্তর:  বড় দুই মেয়ের নামের ভিত্তিতে। 

সুভাষিণী অর্থ কী-?

উত্তর: মধুরভাষী। 

সুভাষিণীকে সবাই সংক্ষেপে তাকে কী নামে ডাকে? 

উত্তর: সুভা। 

সুকেশিনী ও সুহাসিনীর সাথে সুভাষিণীর সম্পর্ক কী? 

উত্তর: বোন। 

দস্তোর মত অনুসন্ধান ও অর্থব্যায়ে কার বিয়ে হয়ে গেছে-?

উত্তর: সুভার বোনেদের। 

সাধারণের দৃষ্টি পথ থেকে কে নিজেকে গোপন করে রাখতে সব সময় চেষ্টা করত-?

উত্তর:  সুভা। 

সুভা নিজেকে গোপন রাখতে সর্বদা চেষ্টা কেন করে?

উত্তর: সুভা কথা বলতে পারে না বলে। 

সবাই তাকে ভুলে গেলে বাঁচে, এখানে কার কথা বলা হয়েছে-?

উত্তর: সুভাষিণীর।

কোনটি কেউ কখনো ভুলে না-?

উত্তর: বেদনা। 

পিতা-মাতার মনে সে সর্বদায় জাগরুক ছিল-এখানে কার কথা বলা হয়েছে-?

উত্তর: সুভাষিণীর।

মাতা-পুত্র অপেক্ষা কাকে নিজের অংশরুপ দেখে?

উত্তর: কন্যাকে। 

কে সুভাকে সুহাসিনী ও সুকেশিনী অপেক্ষা বেশী ভালোবাসেন-?

উত্তর: সুভার পিতা। 

সুভার বাবার নাম কী ছিল?

উত্তর: বাণীকন্ঠ। 

“কিন্তু মাতা তাহাকে নিজের গর্ভের কলঙ্ক জ্ঞান করিয়া তাহার প্রতি বড়ো বিরক্ত ছিলেন” এখানে কার প্রতি বোঝানো হয়েছে-?

উত্তর:  সুভার প্রতি। 

সুভার কি ছিল না?

উত্তর: সুভার কথা ছিল না। 

সুভার গ্রামের নাম কী?

সুভার গ্রামের চন্ডীপুর। 

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

সুভা গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর এই বিষয় নিয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্নের উত্তর-

সুভা গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে? 

সুভা গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত “গল্পগুচ্ছ” গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে।

সাধারণ বালিকারা কাকে দেখে ভয় করত?

সাধারণ বালিকারা “সুভাকে” দেখে ভয় করত। 

উপসংহার

এইচএসসি কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্ততির জন্য সুভা গল্প থেকে MCQ পড়ে মুখস্থ রাখা প্রয়োজন। বিগত সালের পরীক্ষাগুলোতে সুভা গল্প থেকে অনেকগুলো বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এসেছে। তাই আগে থেকেই আপনাকে সুভা গল্পের MCQ পড়ে মুখস্থ রাখা উচিত। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রস্ততি আরও বেশী শক্তিশালী করতে মাসি পিসি গল্পের MCQ এই সম্পর্কে পড়তে পারেন।    

“সুভা গল্পের MCQ প্রশ্নের উত্তর” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *