কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর দিন সহজেই। বিগত সালের মাধ্যমিক এবং চাকরির পরীক্ষাগুলোতে কাকতাড়ুয়া উপন্যাস থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এসেছে। তাই আপনারা যারা এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তারা কাকতাড়ুয়া উপন্যাস সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটিতে কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের পটভূমি
সবুজ শস্য-শ্যামলা, ছায়া ঢাকা এক গ্রামের কিশোর হচ্ছে বুধা। তার এক চাচি আর চাচাতো ভাই-বোন ছাড়া তিন কুলে আপনজন বলতে তার আর কেউ নেই। তবে তার একদিন বাবা, মা, ভাই-বোন সবাই ছিল। এক রাতের কলেরায় সে তার পরিবারকে হারায়। ভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায় এবং তার চাচির বাড়িতে প্রথমে সে আশ্রয় নেয়। চাচি দারিদ্র্যের কথা তুললেই সে বাড়ি ছেড়ে দেয় এবং সেই থেকেই সে একা হয়ে যায়। সে হাঁটে-মাঠে ঘুরে বেড়ায়। ঘুরতে ঘুরতে সে কোথায় যায় তার কোন হিসাব রাখেনা। তার নিজের কাছে পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সব সমান মনে হয়। সে মনে করে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই ওর জন্য রাস্তা খােলা। পুরো গ্রামের সবাই তার আপনজন। একদিন ঐ গ্রামে মিলিটারি পাকবাহিনী ঢুকে পড়ল। পুড়িয়ে দিল বাজারের দোকানপাট। বিস্মিত বুধা, কেন তারা এমন করল? কী এমন অপরাধ করেছে এ দেশের মানুষ? ভীষণ ক্ষুব্ধ হলাে সে। ভাবল, এর প্রতিকার হওয়া দরকার। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জরুরি। শুধু এরা নয়, যারা এদের সহায়তা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে।
কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের লেখক পরিচিতি
কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের রচিয়তা হলেন সেলিনা হোসেন। তিনি ১৯৪৭ সালের ১৪ জুন তারিখে রাজশাহী শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস হলো লক্ষ্মীপুর জেলার হাজিরপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম এ কে মোশারফ হোসেন। মায়ের নাম মোশাররফ মরিয়ামুন্ননেছা। তার পিতার এ কে মোশারফ হোসেনের আদিবাড়ি নোয়াখালী হলেও চাকরিসূত্রে বগুড়া ও পরে রাজশাহী থেকেছেন দীর্ঘকাল। কাজেই সেলিনাকে একেবারে ছেলেবেলায় নোয়াখালীতে বেশিদিন থাকতে হয়নি। তার বাবা-মায়ের ৯ ছেলে মেয়ের মধ্যে সেলিনা হোসেনের অবস্থান চতুর্থ। সেলিনা হোসেন ১৯৫৪ সালে বগুড়ার লতিফপুর প্রাইমারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে রাজশাহীর প্রমথনাথ (পি.এন) গালর্স স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৬২ সালে তিনি এখান থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মহিলা কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবন শেষ করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে বি.এ. অনার্স এবং ১৯৬৮ সালে এম.এ. পাস করেন। সেলিনা হোসেনের বর্তমান (২০২৪ অনুসারে) ৭৬ বছর বয়স।
কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ সমূহ
এসএসসি পরীক্ষা ও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি সরূপ “কাকতাড়ুয়া” এ উপন্যাস থেকে MCQ পড়ে রাখা প্রয়োজন। আপনারা যারা এ বছর স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তারা “কাকতাড়ুয়া উপন্যাস” থেকে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন-উত্তরগুলো জেনে রাখতে পারেন। নিচে কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ প্রশ্ন ও উত্তরগুলো দেখে নিন-
সেলিনা হোসেন লেখালেখি শুরু করেন কখন থেকে?
উত্তর: ষাটের দশক থেকে।
সেলিনা হোসেনের প্রকাশিত বড়দের জন্য উপন্যাস সংখ্যা কত?
উত্তর: তেত্রিশ।
‘গায়ত্রী সন্ধ্যা’ সেলিনা হোসেনের কোন ধরনের রচনা?
উত্তর: উপন্যাস।
সেলিনা হোসেন কোথা থেকে পান সুরমা চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার?
উত্তর: ভারত থেকে।
সেলিনা হোসেন সম্মান সূচক ডি-লিট উপাধিতে ভূষিত হন কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ?
উত্তর: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
কী ছিলেন কর্মজীবনে সেলিনা হোসেন?
উত্তর: বাংলা একাডেমির পরিচালক।
পূর্ব-পশ্চিম উত্তর-দক্ষিণ সব সমান কার কাছে?
উত্তর: বুধার কাছে।
বুধা ভাত মাংস পেট পুরে খেতে পায় কোথায়?
উত্তর: বিয়ে বাড়িতে।
রাত পোহাবার আগে চলে যায় কে?
উত্তর: বিনু।
কেমন ছিল বিনুর চোখ?
উত্তর: অপূর্ব।
বুধার কলেরায় মারা যায় কয় ভাইবোন?
উত্তর: ৪ জন ভাই-বোন।
সেবার কলেরায় মহামারীতে উজাড় হয়ে যায় গাঁয়ের কত লোক?
উত্তর: অর্ধেক লোক।
এক রাতে বুধা কয়জন মানুষকে হারায়?
উত্তর: ৬ জন।
মুক্তি চায় কে বুধার কাছে ?
উত্তর: বুধার চাচি।
বুধাকে কে সইতে পারেনি?
উত্তর: বুধার চাচি।
কাকতাড়ুয়া সেজে কাঠফাটা রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে বুধার মাথায় কিসের ছায়া নেমে আসে?
উত্তর: শকুনের ছায়া।
বাজারে আগুন লাগায় কারা?
উত্তর: ডাকাতের দল।
পোড়া বাজারের দিকে তাকিয়ে বুধার কী হয়?
উত্তর: চোখ লাল হয়।
গাঁয়ের মানুষ কী করে মিলিটারি আসার পরদিন?
উত্তর: পালাতে থাকে।
হরিকাকুর সাথে বুধার কোথায় দেখা হয়েছিল?
উত্তর: জামতলায়।
বুধার মতে যে পালায়- সে কী?
উত্তর: ভিতুর ডিম।
মিলিটারি প্রথমবার আসার কত মাস পর দ্বিতীয়বার মিলিটারি আসে?
উত্তর: দুই মাস পর।
দ্বিতীয়বার মিলিটারি বাহীনি এসে গ্রামে কী বানায়?
উত্তর: ক্যাম্প বানায়।
মোট কতবার মৃত্যুর গাঁয়ে উৎপাত ঘটেছে?
উত্তর: দুই বার।
বুধার ভেতরে কী জাগে যখন তার চোখ লাল হয়ে যায়?
উত্তর: কিছু করার ইচ্ছা।
অনেক রাতে কিসের শব্দে বুধার ঘুম ভাঙে?
উত্তর: গুলির শব্দে।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কত তারিখে হয়েছে?
উত্তর: ৭ মার্চ তারিখে।
যুদ্ধের কত বছর আগে বুধা তার বাবা-মা-ভাই-বোনকে হারিয়েছে?
উত্তর: দুই বছর আগে।
কারা খায় দায়, ফুর্তি করে আর মানুষ ধরে নিয়ে যায়?
উত্তর: হানাদাররা।
শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছিল কে?
উত্তর: আহাদ মুন্সি।
বিদেশি মানুষ এবং নিজেদের মানুষ সবার ওপর বুধার ঘৃণা বাড়র কারণ কী?
উত্তর: অত্যাচার করার জন্য।
গাঁয়ের মানুষ কয় ভাগে ভাগ হয়ে গেছে?
উত্তর: দুই ভাগে।
গ্রাম কিসের বাড়ি হয়ে যাবে লড়াই না করলে?
উত্তর: ভূতের বাড়ি।
যুদ্ধে শত্রুরা হেরে যায় কখন?
উত্তর: সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে।
আহাদ মুন্সির কয় চালা ঘর রয়েছে?
উত্তর: আট চালা।
বুধা আলির তেলের দাম শোধ করবে কীভাবে?
উত্তর: গায়ে খেটে।
মিঠু আর আলির মতে বুধা কেরোসিন তেল দিয়ে কী করবে-?
উত্তর: ভালো কিছু করবে।
আগুন লাগায় ঘুমন্ত মানুষগুলো বেরিয়ে আসতে ব্যস্ত কী নিয়ে?
উত্তর: জীবন নিয়ে।
আহাদ মুন্সির বড় ছেলের নাম কী?
উত্তর: মতিউর।
রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে কে কাজ করে?
উত্তর: ফুলকলি।
বুধা ফুলকলিকে কী খেতে দিল?
উত্তর: জিলাপি।
রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে কিছু ঘটলে কে বুধাকে জানিয়ে দেবে?
উত্তর: ফুলকলি।
ফুলকলির দুঃখ থাকবে না কখন?
উত্তর: দেশ স্বাধীন হলে।
স্বপ্নের আশ্চর্য দেশে বুধা কাকে পাশে দেখতে পায়?
উত্তর: ফুলকলি-কে।
‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উল্লিখিত শাহাবুদ্দিন কোথায় পড়ে?
উত্তর: আর্ট কলেজে।
শাহাবুদ্দিনের মতে গ্রামে কে একাই লড়াই করছে?
উত্তর: বুধা।
কেয়ামতের দিন মাথার এক হাত উপরে সূর্য নেমে আসবে।” এটা কার কথা ছিল?
উত্তর: মৌলবির।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ এই বিষয় নিয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তবে তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সমস্ত সকল প্রশ্নের উত্তর-
পাকিস্তানি সেনাদের কাছে বুধা তার নাম কী বলে?
পাকিস্তানি সেনাদের কাছে বুধা তার নাম কাকতাড়ুয়া বলে।
মাঠে বুধাকে কাকতাড়ুয়া সাজানোর পর কখন সে ছাড়া পায়?
মাঠে বুধাকে কাকতাড়ুয়া সাজানোর পর সন্ধ্যায় সে ছাড়া পায়।
শাহাবুদ্দিন বুধার ছবি আঁকবে কখন ?
দেশ স্বাধীন হলে শাহাবুদ্দিন বুধার ছবি আঁকবে।
উপসংহার
এইচএসসি পরীক্ষায় কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রস্ততির জন্য কাকতাড়ুয়া উপন্যাস থেকে MCQ পড়ে মুখস্থ রাখা প্রয়োজন। বিগত সালের পরীক্ষাগুলোতে কাকতাড়ুয়া উপন্যাস থেকে অনেকগুলো বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এসেছে। তাই আগে থেকেই আপনাকে কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ পড়ে মুখস্থ রাখা প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রস্ততি আরও বেশী শক্তিশালী করতে সুভা গল্পের MCQ সম্পর্কে পড়তে পারেন।
“কাকতাড়ুয়া উপন্যাস MCQ” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে, তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!
Leave a Reply