আমার পথ প্রবন্ধের MCQ

Amar Poth Probondher MCQ

সর্বশেষ আপডেটঃ

/

ক্যাটাগরিঃ

,

আমার পথ প্রবন্ধের MCQ গুলো পড়ে স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নের উওর দিন সহজেই। কেননা বিগত সালের এইচএসসি পরীক্ষাগুলোতে আমার পথ প্রবন্ধ থেকে অনেকগুলো বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এসেছে। তাই আপনারা যারা এ বছর স্কুল-কলেজ ও চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তারা আমার পথ প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয়সহ কতিপয় তথ্য জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী শক্তিশালী করতে পারেন।  আজকের এই পোস্টটি আমার পথ প্রবন্ধের MCQ নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।  

আমার পথ প্রবন্ধের পাঠ পরিচিতি

কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ “রুদ্র মঙ্গল” থেকে সংকলন করা হয়েছে আমার পথ প্রবন্ধ-টি। ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কবি এমন এক আমির প্রত্যাশা করেছেন যার সত্যের পথ; সত্য প্রকাশে নির্ভীক অসংকোচ। তাঁর এই ‘আমি’ ভাবনা বিন্দুতে সিন্দুর উচ্ছ্বাস জাগায়। কবি নজরুল প্রতিটি মানুষকে আরেক মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে ‘আমরা’ হয়ে ওঠতে চেয়েছেন। স্বনির্ধারিত এই জীবন সংকল্পকে তিনি তার মত আরও যারা সত্যপথের পথিক হতে আগ্রহী তাদের উদ্দেশ্য ছড়িয়ে দিতে চান। এই সত্যর উপলব্ধি কবির প্রাণপ্রাচুর্যের উৎসবিন্দু। তিনি তাই অনায়াসে বলতে পারেন ‘আমার কর্ণধার আমি’। 

আমার পথ প্রবন্ধের লেখক পরিচিতি 

আমার পথ প্রবন্ধের রচিয়তা হলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসোনসোল মহাকুমার চুরুলিয়া গ্রামে ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (১১ই জৈষ্ঠ্য ১৩০৬) তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মায়ের নাম জাহেদা খাতুন। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। সত্য প্রকাশে দুরন্ত সাহস নিয়ে নজরুল আমৃত্যু সকল অন্যায় ও শোষণের বিরুদ্ধে ছিলেন সেচ্ছার ও প্রতিবাদী। এজন্য বাংলা সাহিত্যের ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে তিনি সমাধিক পরিচিত। 

আবার একই সাথে তিনি কোমল দরদি মন নিয়ে ব্যথিত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে থেকেছেন। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া নজরুলের কর্মজীবনেও ছিল অত্যন্ত বৈচিত্রময়। মসজিদের ইমামতি, লেটোর দলে যোগদান, ১৯১৭ সালে সেনাবাহিনী বাঙ্গালী পল্টনের যোগদান তার উল্লেখযোগ্য অবদান। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে সে তার কথা বলার শক্তি হারান। তিনি সাহিত্যের শাখায় বেশ অবদান রেখেছেন। তার রচিত উপন্যাসের মধ্যে ‘বাধনহারা, ‘মৃত্যুক্ষুধা’ কুহেলিকা এবং গল্পগ্রন্থের মধ্যে ‘ব্যাথার দান’ রিক্তের বেদন, শিউলিমালা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার প্রবন্ধগ্রন্থ হলোঃ রুদ্র মঙ্গল, দুর্দিনের যাত্রী, রাজবন্দীর জবানবন্দী ইত্যাদি। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট (১২ই ভাদ্র ১৩৮৩) তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে কবর দেওয়া হয়। 

আমার পথ প্রবন্ধের MCQ সমূহ

এইচএসসি পরীক্ষা ও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি সরূপ “আমার পথ” এ প্রবন্ধ থেকে MCQ পড়ে রাখা প্রয়োজন। আপনারা যারা এ বছর স্কুল-কলেজ কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তারা “আমার পথ” এই প্রবন্ধ থেকে বহু নির্বাচনী প্রশ্ন-উত্তরগুলো জেনে রাখতে পারেন। নিচে আমার পথ প্রবন্ধের MCQ  প্রশ্ন ও উত্তরগুলো দেখে নিন- 

কাজী  নজরুল ইসলামের ডাকনাম কি? 

উত্তর: দুখু মিয়া। 

কাজী নজরুল ইসলাম এক মানুষকে অন্য মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে কী হয়ে উঠতে চেয়েছেন?

উত্তর: আমরা। 

কাজী  নজরুল ইসলামের বাবার নাম কি? 

উত্তর: কাজী ফকির আহমেদ। 

কাজী  নজরুল ইসলামের মায়ের নাম কি? 

উত্তর: জাহেদা খাতুন। 

‘আমার পথ’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে? 

উত্তর: রুদ্র-মঙ্গল। 

‘আমার পথ’ প্রবন্ধটির রচয়িতার নাম কি?

উত্তর: কাজী  নজরুল ইসলাম। 

‘আমার পথ’ কোন ধরনের রচনা?

উত্তর: প্রবন্ধ। 

আগুনের ঝান্ডা অর্থ কী? 

উত্তর: অগ্নিপতাকা। 

মেকি’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: মিথ্যা/কপট। 

সকল অন্যায়ের সামনে কাজী নজরুল ইসলাম কী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন?

উত্তর: অভিশাপ। 

নেতৃত্ব প্রদানের সামর্থ্য আছে এমন ব্যক্তিকে কী বলা হয়?

উত্তর: কর্ণধার। 

‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক কী ঝুলিয়ে পথে বের হলেন? 

উত্তর: আগুনের ঝান্ডা। 

প্রাবন্ধিক কাজী নজরুল ইসলাম কী করতে চান না?

উত্তর: না বুঝে বোঝার ভন্ডামি।

কোনটিকে লক্ষ্য করে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধের প্রাবন্ধিক পথে বের হলেন?

উত্তর: দেশের পক্ষে যা মঙ্গলকর।

হিন্দু-মুসলমানের কী দেখিয়ে দিয়ে এর গলদ দুর করা প্রাবন্ধিকের অন্যতম উদ্দেশ্য? 

উত্তর: ঝগড়া-বিবাদের কারণ। 

কে কখনো অন্য ধর্মকে ঘৃণা করতে পারে না?

উত্তর: যার নিজের ধর্মে বিশ্বাস আছে।

কোথায় মানুষে মানুষে কোনো হিংসার ভাব আনে না?

উত্তর: যেখানে প্রাণের মিল। 

কোন ধর্ম সবচেয়ে বড় বলে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কাজী নজরুল ইসলাম উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: মানুষের ধর্ম। 

কোন ভুল করছে তা বুঝতে পারলেই প্রবন্ধিক কী করবে?

উত্তর:  তা স্বীকার করবে। 

কিসের লোভ প্রাবন্ধিক কোনদিনই করবেন না?

উত্তর: ভন্ডামি করে শ্রদ্ধা পাওয়ার লোভ। 

কাজী নজরুল ইসলামের উপাধী কি ছিল? 

উত্তর: বিদ্রোহী কবি। 

কাজী নজরুল কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? 

উত্তর: ১৮৯৯ সালের ২৫ মে তারিখে। 

কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে সেনাবাহিনী বাঙ্গালী পল্টনের যোগদান করেন? 

উত্তর: ১৯১৭ সালে। 

“কারও প্রশংসা পাবার লোভে কোনোদিনও মিথ্যার পথে হাঁটেনি নিখিল।” ‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অনুসারে নিখিলের মধ্যে কোনটি নেই?

উত্তর:  প্রশংসা পাওয়ার লোভ। 

দেশের যা- কিছু মিথ্যা তাকে দূর করতে কী প্রয়োজন হবে?

উত্তর: আগুনের সম্মার্জনা। 

লেখক কীভাবে একটি নতুন দেশ গড়বেন?

উত্তর: সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে। 

কাদের দূর করতে আগুনের সম্মার্জনা প্রয়োজন হবে?

উত্তর: দেশের শত্রুদের। 

সে সমাজের ভিত্তি পচে গেছে তাকে একেবারে উপড়ে ফেলতে হবে কেন?

উত্তর: নতুন সমাজ গড়ে তোলার জন্য। 

কাজী নজরুল ইসলামের জন্মস্থান কোথায়? 

উত্তর: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসোনসোল মহাকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। 

কীভাবে নতুন জাতি গড়ে তোলা যাবে?

উত্তর: পচে যাওয়া সমাজকে ধ্বংস করে।

নিচের কোনটির জন্য ‘ধুমকেতু’র সারথী দায়ী নয় বলে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক উল্লেখ করেছেন?

উত্তর: প্রলয়। 

প্রাবন্ধিক কীভাবে প্রলয় আনবে?

উত্তর: পচে যাওয়া সমাজকে ধ্বংস করে। 

যাদের তথাকথিত দম্ভ আছে তারাই কী করতে পারে?

উত্তর: অসাধ্য সাধন। 

অসাধ্যকে সাধন করতে পারে  কারা-?

উত্তর: যাদের মনে তথাকথিত দম্ভ আছে। 

‘আমার পথ’ প্রবন্ধ অনুসারে নিচের কোনটিকে ভণ্ডামি বলা যায় না?

উত্তর: পরিস্থিতির কারণে মিথ্যা বলা। 

“তেত্রিশ কোটি দেবতার দেশ” বলতে ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কোন দেশকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: ভারতবর্ষকে। 

ভারতবর্ষের পরাধীনতার প্রধান কারণরূপে কোনটিকে চিহ্নিত করা যায়?

উত্তর: নিস্ক্রিয়তা। 

কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন কবে-? 

উত্তর: ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট (১২ই ভাদ্র ১৩৮৩) তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। 

কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা আসবে?

উত্তর: আত্মনির্ভরশীল হয়ে ওঠার মাধ্যমে। 

কী লেখকের আগুনকে নেভাতে পারে?

উত্তর:  মিথ্যার জল। 

আত্মাকে চিনলে কীভাবে আত্মনির্ভরতা আসে?

উত্তর: নিজ শক্তিকে জানার মাধ্যমে। 

কাজী নজরুল ইসলামের প্রাথমিক শিক্ষা কোথায় ছিল? 

উত্তর: গ্রামের মক্তব থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন।  

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

আমার পথ প্রবন্ধের MCQ এই বিষয় নিয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তবে তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্নের উত্তর-

বাংলাদেশের জাতীয় কবির নাম কি? 

বাংলাদেশের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে কোন কবির সমাধিস্থল রয়েছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের পাশে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থল রয়েছে। 

উপসংহার

এইচএসসি পরীক্ষায় কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রস্ততির জন্য আমার পথ প্রবন্ধ থেকে MCQ পড়ে মুখস্থ রাখা প্রয়োজন। বিগত সালের পরীক্ষাগুলোতে আমার পথ প্রবন্ধ থেকে অনেকগুলো বহু নির্বাচনী প্রশ্ন এসেছে। তাই আগে থেকেই আপনাকে আমার পথ প্রবন্ধের MCQ পড়ে মুখস্থ রাখা উচিত। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার প্রস্ততি আরও বেশী শক্তিশালী করতে সিরাজউদ্দৌলা নাটকের MCQ সম্পর্কে পড়তে পারেন।    

“আমার পথ প্রবন্ধের MCQ” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!

One response to “আমার পথ প্রবন্ধের MCQ”

  1. Fahamida Avatar
    Fahamida

    অনেক সুন্দর হয়েছে প্রশ্ন গুলো ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *