রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ গুলো কি কি এই বিষয়ে জেনে বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর দিন দিন সহজেই। বিগত সালের পরীক্ষারগুলোতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ থেকে নানা ধরনের প্রশ্ন এসেছে। তাই আপনারা যারা এবছর বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ গুলো কি কি এই সমন্ধে জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী দৃঢ করতে পারবেন। আজকের আর্টিকেল-টি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থগুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই আর্টিকেল-টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ই মে, ১৮৬১ (২৫শে বৈশাখ, ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মায়ের নাম সারদা সুন্দরী দেবী। তার স্ত্রীর নাম মৃণালিনী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম ভানুসিংহ। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তার পিতামাতার চৌদ্দতম সন্তানের মধ্যে কণিষ্ঠতম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, গল্পকার, চিত্রকর, অভিনেতা, দার্শনিক, অভিনেতা, ছোট গল্পকার। রবীন্দ্রনাথের পাঁচটি সন্তান ছিল রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাধুরীলতা দেবী, মীরা দেবী এবং রেণুকা দেবী। তিনি ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্যর জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭ই আগস্ট, ১৯৪১ (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ গুলো কি কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২ টি। সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষা কিংবা বিসিএস পরীক্ষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে প্রতিবছর ২-১টি প্রশ্ন কমন পড়েই থাকে। তাই আপনারা যারা এ বছর বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কয়টি এই বিষয়ে জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী দৃঢ় করতে পারেন। নিচে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ গুলো তালিকা আকারে তুলে ধরা হলো-
কাব্যগ্রন্থের নাম | প্রকাশকাল |
---|---|
কথা | ১৯০০ সাল |
কাহিনী | ১৯০০ সাল |
খেয়া | ১৯০৬ সাল |
গীতালি | ১৯১৪ সাল |
চিত্রা | ১৮৯৬ সাল |
ছড়ার ছবি | ১৯৩৭ সাল |
নদী | ১৮৯৬ সাল |
পত্রপুট | ১৯৩৬ সাল |
পুনশ্চ | ১৯৩২ সাল |
প্রহাসিনী | ১৯৩৮ সাল |
বলাকা | ১৯১৬ সাল |
ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী | ১৮৮৪ সাল |
শিশু | ১৯০৩ সাল |
শেষ সপ্তক | ১৯৩৫ সাল |
সানাই | ১৯৪০ সাল |
স্ফুলিঙ্গ | ১৯৪৫ সাল |
স্মরণ | ১৯০৩ সাল |
আকাশ প্রদীপ | ১৯৩৯ সাল |
কড়ি ও কোমল | ১৮৮৬ সাল |
ক্ষণিকা | ১৯০০ সাল |
গীতিমাল্য | ১৯১৪ সাল |
চৈতালি | ১৮৯৬ সাল |
ছবি ও গান | ১৮৮৪ সাল |
নবজাতক | ১৯৪০ সাল |
পরিশেষ | ১৯৩২ সাল |
প্রান্তি | ১৯৩৮ সাল |
মহুয়া | ১৯২৯ সাল |
রোগশয্যায় | ১৯৪০ সাল |
শিশু ভোলানাথ | ১৯২২ সাল |
শ্যামলী | ১৯৩৬ সাল |
সেঁজুতি | ১৯৩৮ সাল |
আরোগ্য | ১৯৪১ সাল |
কণিকা | ১৯০০ সাল |
কল্পনা | ১৯০০ সাল |
খাপছাড়া | ১৯৩৭ সাল |
গীতাঞ্জলি | ১৯৩৭ সাল |
জন্মদিনে | ১৯৪১ সাল |
নৈবেদ্য | ১৯০১ সাল |
পলাতকা | ১৯১৮ সাল |
প্রভাত সংগীত | ১৮৮৩ সাল |
বনবাণী | ১৯৩১ সাল |
মানসী | ১৮৯০ সাল |
লেখন | ১৯২৭ সাল |
শেষ লেখা | ১৯৪১ সাল |
সন্ধ্যা সঙ্গীত | ১৮৮২ সাল |
সোনার তরী | ১৮৯৪ সাল |
পূরবী | ১৯২৫ সাল |
বিচিত্রতা | ১৯৩৩ সাল |
বীথিকা | ১৯৩৫ সাল |
প্রান্তিক | ১৯৩৮ সাল |
বনফুল | ১৮৮০ সাল |
ভগ্নহৃদয় | ১৮৮১ সাল |
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ গুলো কি কি এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে। তবে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্নের উত্তর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ “বনফুল”। এটি ১৮৮০ সালা প্রকাশিত হয়েছিল। এতে বিহারীলাল চক্রবর্তীর প্রভাব সুস্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হলো “শেষ লেখা”। এটি ১৯৪১ সালে প্রকাশিত হয়। এই কাব্যগ্রন্থে সর্বমোট ১৫ টি কবিতা রয়েছে।
উপসংহার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ সমন্ধে আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রস্ততির জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ কয়টি ও কি কি জেনে রাখা প্রয়োজন। তাই আগে থেকেই আপনাকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ জেনে রাখা অত্যাবাশক। এছাড়াও বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার প্রস্ততি আরও শক্তিশালী করতে চাইলে আপনি কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ কয়টি ও কি কি? পড়তে পারেন।
“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ গুলো কি কি” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।