Skip to content

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি কি?

Plant Nutrients

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি এই সম্পর্কে পড়ে বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। বিগত সালের সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষাগুলোতে উদ্ভিদের পুষ্টি সম্পর্কিত প্রশ্ন এসেছিল। তাই আপনারা যারা এ বছর বিসিএস পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তারা পুষ্টি সম্পর্কে পড়ে জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি কি এই বিষয়গুলো নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো। 

পুষ্টি কাকে বলে?

পুষ্টি বলতে প্রাণী তার শরীরের সমস্ত চাহিদা পূরণ করার জন্য যে সকল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করে এবং পরিপাক করে থাকে তাকেই পুষ্টি বলা হয়। খাদ্য দ্রব্যের মধ্য অবস্থিত বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে এটাই হলো পুষ্টি।

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি কি? 

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি এ বিষয়ে প্রায় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন পড়ে থাকে। উদ্ভিদের সঠিকভাবে বেঁড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় কিছু মৌলের। এসবই হলো উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান। গাছ যে সকল খাদ্যর উপাদান গ্রহণ করে তার মধ্যে ১৬ টি উপাদান অত্যবশকীয় মনে করা হয়। কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন ব্যতীত অন্যান্য ১৩টি উপাদান উদ্ভিদ মাটি থেকে সংগ্রহ করে থাকে এবং এই ১৩ টি উপাদানকে বলা হয় খনিজ পুষ্টি। গাছের পুষ্টি গ্রহণের উপর নির্ভর করে উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানকে মূলত ২ ভাগে ভাগ করা যায় তাহলোঃ মূখ্য উপাদান ও গৌণ উপাদান। মূখ্য উপাদানগুলো হলোঃ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম  ও  সালফার। গৌন উপাদানগুলো হলোঃ আয়রণ, কপার, মলিবডেনাম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, বোরণ ও ক্লোরিন। গাছ কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন গ্রহণ করে থাকে বাতাস এবং পানি থেকে। নিম্নে উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানগুলোর কার্যকারিতা উল্লেখ করা হলো- 

পুষ্টি উপাদানের নামকার্যকারিতা
ক্যালসিয়ামকোষ আবরণ তৈরিতে ও কোষ বিভাজনে সাহায্য করে। 
নাইট্রজেনপ্রোটিন, নিউক্লিক এসিড ও ক্লোরোফিল গঠনে সহয়তা করে।  
পটাসিয়ামএনজাইমের কার্যকারিত বাড়ায় এবং অসমোটিক প্রেসার ও আয়ন নিয়ন্ত্রণ করে।
সালফারঅ্যামাইনো এসিড, কো-এনজাইম এবং ভিটামিন বি তৈরিতে সহয়তা করে। 
ম্যাগনেসিয়ামক্লোরোফিল গঠনে সহয়তা করে।   
আয়রণকোষের সাইটোক্রম তৈরিতে সহয়তা করে। 
ম্যাঙ্গানিজজারণ বিজারণে সহয়তা করে।    
বোরণ কার্বোহাইড্রেট কে মেটাবলাইজ করে,প্রোটিন সংশ্লেষ করে।   
জিংক মলিবডেনামঅক্সিন তৈরিতে সাহয্য করে।   কতিপয় এনজাইম সংশ্লেষণে সাহায্য করে । 
ক্লোরিনসালোকসংশ্লেষণ গঠনে সাহয্য করে। 

এছাড়াও কিছু পুষ্টিদায়ক পদার্থ খুব সামান্য পরিমাণে প্রয়োজন হয়। এ ধরনের পুষ্টি উপাদানগুলোর মধ্যে যেগুলো প্রয়োজন সেগুলো হচ্ছে বোরন, ক্লোরিন, কপার বা তামা, আয়রন বা লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম, জিঙ্ক বা দস্তা, মলিবডেনামও নিকেল। অন্যান্য উপকারী উপাদানগুলো হল সিলিকন ও কোবাল্ট।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি কি এই বিষয়ে আপনার মনে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো- 

খাদ্যের মুখ্য পুষ্টি উপাদানগুলো কি কি?  

খাদ্যের মুখ্য পুষ্টি উপাদানগুলো হলো- শর্করা, আমিষ, স্নেহ, ভিটামিন, খনিজ ও পানি।

উদ্ভিদ কোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য গুলো কি? 

উদ্ভিদ কোষের অনন্য বৈশিষ্ট্য গুলো হলো কোষপ্রাচীর।

উপসংহার 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি কি এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। তাই আপনারা যারা এ বছর বিসিএস কিংবা চাকরির পরীক্ষার জন্য নিয়মিত পড়াশোনা করছেন তারা উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান সমূহ পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করতে পারেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতির জন্য পুষ্টি কত প্রকার ও কি কি? এ বিষয়ে পড়তে পারেন।   

“উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদান কয়টি ও কি কি?” এ বিষয় সম্পর্কে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে, আপনি এই পোস্টের নিচে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ! 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *