১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম জেনে বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর দিন সহজেই। বিগত সালের পরীক্ষার প্রশ্নগুলোতে আউটপুট ডিভাইস সম্পর্কিত অনেক প্রশ্ন পরীক্ষায় এসেছে। তাই আপনারা যারা এ বছর বিসিএস কিংবা চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে? আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি এই সমন্ধে জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি কম্পিউটারের ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই আপনি আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আউটপুট ডিভাইস কি?
যে সমস্ত ডিভাইসে ইনপুট ডেটা প্রসেসিং হওয়ার পর, আউটপুট প্রদান করে সেই সকল ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাইস বলে। অর্থাৎ কম্পিউটারে যে সমস্ত ইনপুট ডিভাইসের সাহায্যে যে সমস্ত ইনপুট প্রদান করা হয় সেগুলি কম্পিউটার প্রসেসিং করে, আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ব্যবহারকারী প্রদর্শন করতে পারে। কয়েকটি আউটপুট ডিভাইস হলো মনিটর, প্রিন্টার, প্রজেক্টর, প্লটার, ইয়ারফোন ইত্যাদি।
১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নামগুলো
কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য আউটপুট ডিভাইসের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা আউটপুট ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটার পরিচালনা করা অসম্ভব।কম্পিউটারে যেকোন তথ্য দেখার জন্য আউটপুট ডিভাইসের প্রয়োজন হবে। আপনারা যারা এ বছর বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন তারা আউটপুট ডিভাইস গুলো কি কি এই সমন্ধে জেনে রাখতে পারেন। নিচে ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম তুলে ধরা হলো –
একনজরে আউটপুট ডিভাইস গুলো
- মনিটর (Monitor)
- প্রিন্টার (Printer)
- প্রজেক্টর (Projector)
- ইয়ারফোন (Earphones)
- প্লটার (Plotter)
- স্পিকার (Speaker)
- সাউন্ড কার্ড (Sound Card)
- জিপিএস (GPS)
- ব্রেইল রিডার (Braille Reader)
- ভিডিও কার্ড (Video Card)
১। মনিটর (Monitor)
মনিটর হলো অন্যতম প্রধান একটি আউটপুট ডিভাইস। কম্পিউটারের যেকোন কাজের আউটপুট দেখার জন্য মনিটরের প্রয়োজন হয়। মনিটর ছাড়া কম্পিউটারের কোন ড্যাটা দেখা সম্ভব নয়। ড্যাটা ইনপুট করার সময় মনিটরের প্রয়োজন হয়। এক কথায় বলা যায় মনিটর হলো কম্পিউটারের ডিসপ্লে। কম্পিউটার থেকে আসা ডাটাকে টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও রূপে প্রকাশ করতে পারে মনিটর। মনিটর-কে সাধারণত ভিজুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট বলা হয়।
২। প্রিন্টার (Printer)
প্রিন্টার হলো এমন এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস যা কম্পিউটার থেকে তথ্য গ্রহণ করে এবং এটিকে কাগজে বা অন্য কোনও মাধ্যমে রূপান্তর করতে পারে। অর্থাৎ কোন ডকুমেন্ট, ছবি ইত্যাদি প্রিন্টারের মাধ্যেমে কাগজ দিয়ে প্রিন্টার করা যায়। বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টার রয়েছে। যেগুলো দিয়ে সহজে যেকোন তথ্য, ডকুমেন্ট এবং ছবি প্রিন্টার করা যায়।
৩। প্রজেক্টর (Projector)
প্রজেক্টর হলো এমন এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস যার মাধ্যেমে ছোট পর্দায় চিত্র-কে বড় পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায়। কম্পিউটারের মাধ্যেমে কোন বিশেষ কোন প্রজেক্ট তৈরি করে তা সকলের সাথে প্রজেক্টরের মাধ্যেমে দেখানো যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস। বর্তমানে সিনেমা, খেলাধূলা, গান, অনুষ্ঠান, ক্লাসের পাঠদান, বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখানোর কাজে প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয়।
৪। ইয়ারফোন (Earphones)
কম্পিউটার ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকি। আর এই ভিডিওগুলার অডিও শোনার জন্য আমরা ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকি। ইয়ারফোন একটি আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কম্পিউটারে কাজ করে। কম্পিউটারের যেকোন অডিও শোনার ইয়ারফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫। প্লটার (Plotter)
প্লটার হচ্ছে এমন এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস যা দিয়ে সাধারণত উন্নত বড় আকার সাইজের ছবি প্রিন্টার করা হয়। বিভিন্ন ধরনের বড় বড় সাইজের ব্যানার, বিলবোর্ড, পোস্টার কিংবা থ্রিডি প্রিন্টারে কাজে প্লটার ব্যবহার করা হয়। এর জন্য প্রথমে নির্দিষ্ট সাইজের পোস্টার কিংবা ছবি বানিয়ে নিতে হয় এরপর প্লটার ডিভাইসের সাহায্য এগুলো প্রিন্ট করা হয়।
৬। স্পিকার (Speaker)
কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস হলো স্পিকার। স্পিকার ছাড়া কম্পিউটারের যেকোন শব্দ শুনতে স্পিকারের ব্যবহার করা হয়। স্পিকার সাধারণত বৈদ্যুতিক সিগন্যালকে শব্দে রূপান্তর করে। কম্পিউটার মাধ্যেমে সিনেমা, গান, ভিডিওর শব্দ শোনার জন্য স্পিকারের ব্যবহার করা হয়।
৭। সাউন্ড কার্ড (Sound Card)
কম্পিউটারে সাউন্ড শোনার জন্য আমরা যে শব্দ শুনতে পাই, তার জন্য সাউন্ড কার্ডের ভূমিকা অপরীসিম। কারণ সাউন্ড কার্ড ছাড়া কম্পিউটারে কোন ধরনের শব্দ শোনা যায় না। যেহেতু এটি কম্পিউটার প্রসেসর থেকে বাইনারি ডেটা ইনপুট নেয় এবং শব্দ উৎপন্ন করে তাই এটি একটি আউটপুট ডিভাইস। যদি আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে সাউন্ড কার্ড এই ডিভাইস না থাকে তবে আপনি কোনভাবেই আপনার কম্পিউটার থেকে কোন ধরনের শব্দ শুনতে পারবেন না।
৮। জিপিএস (GPS)
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস হল একটি স্যাটেলাইট-ভিত্তিক নেভিগেশন সিস্টেম যা একটি নির্দিষ্ট অবস্থান সনাক্ত করতে রেডিও সংকেত ব্যবহার করে। তাই জিপিএস একটি আউটপুট ডিভাইস।
৯। ব্রেইল রিডার (Braille Reader)
ব্রেইল রিডার হলো এমন এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস যা থেকে কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত থাকে। ব্রেইল রিডার হলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আউটপুট ডিভাইস। এটি একটি বোর্ড নিয়ে গঠিত যার উপর ব্রেইল বর্ণমালা খাঁজ করা থাকে। এতে গ্রুভিং করা হয় যাতে যখনই প্রয়োজন হয় তখনই বর্ণমালা পপ আপ করতে পারে। মনিটরে একটি পাঠ্য প্রদর্শিত হলে, এটি ব্রেইল রিডারে প্রেরণ করা হয়। কম্পিউটার থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত অক্ষরগুলিকে বাম্প আউট করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
১০। ভিডিও কার্ড (Video Card)
ভিডিও কার্ড হলো কম্পিউটারে গ্রাফিক্সের গুণমান বাড়ানোর জন্য, এই বাহ্যিক পেরিফেরাল ডিভাইসটি ব্যবহার করা করা হয়। ভিডিও কার্ড হলো এক ধরনের আউটপুট ডিভাইস। যদি আপনি একজন প্রফেশনাল গেমার হয়ে থাকেন তবে আপনার ভিডিও কার্ড ডিভাইস-টি প্রয়োজন হতে পারে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম নিয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্নের উত্তর।
আউটপুট ডিভাইস কাকে বলে?
যে সমস্ত ডিভাইসে ইনপুট ডেটা প্রসেসিং হওয়ার পর, আউটপুট প্রদান করে সেই সকল ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাইস বলে। যেমন- মনিটর, প্রিন্টার,প্রজেক্টর, প্লটার, ইয়ারফোন ইত্যাদি।
কিভাবে কম্পিউটার কাজ করে?
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে একটি কম্পিউটার ডিভাইস সফলভাবে কাজ করে। তাছাড়াও কম্পিউটার পরিচালনা করার জন্য ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস প্রয়োজন হয়।
উপসংহার
কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য আউটপুট ডিভাইস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের আউটপুট ডিভাইস গুলো সমন্ধে জেনে রাখা প্রয়োজন। আপনারা যারা এ বছর বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রস্ততি নিচ্ছেন তারা ১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী শক্তিশালী করতে পারেন। এছাড়াও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ইনপুট ডিভাইস গুলো কি কি তা জেনে রাখতে পারেন।
“১০ টি আউটপুট ডিভাইসের নাম” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!
Leave a Reply