একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরির লিখিত কিংবা ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন। কেননা বিগত সালের বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরির পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন এসেছে। তাই একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি বাক্য জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও দৃঢ় করতে পারেন। আপনারা যারা এবছর বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা চাইলে একুশে ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে দশটি বাক্য নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
সমস্ত বাংলা ভাষাভাষী ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল দিন হলো একুশে ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশ সহ পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত বাঙ্গালী এই দিনটি বিশেষভাবে উদযাপন করে। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও পরিচিত। ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি বর্ষণের কারণে অনেক তরুণ শহীদ হন।
তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, শফিক, জব্বার, সালাম, বরকত সহ নাম না জানা অনেকেই। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তারিখে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়। তাই প্রত্যক বাঙ্গালীর কাছে বিশেষ একটি দিন হলো একুশে ফেব্রুয়ারি বা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের কাছে অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল দিন হলো একুশে ফেব্রুয়ারি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে বাক্য লিখতে বলা হয়। তাই আপনি নিচের একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারেন।
- ২১ শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালী জাতির জাতীয় জীবনে একটি স্মরণীয় দিন।
- একুশে ফেব্রুয়ারি প্রত্যক বাঙালির জীবনে শোক, শক্তি ও গৌরবের প্রতীক। ১৯৫২ সালের এ দিনে ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণ দিয়েছিলেন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত ও জব্বারসহ আরও নাম না জানা অনেকেই।
- বাংলা আমাদের মাতৃভাষা হওয়ায় বিশ্বের দরবারে আমরা বাঙালি জাতি আজ সুপরিচিত ।
- একুশে ফেব্রুয়ারির দিন সমস্ত বাঙ্গালী জাতি শহী্দদের শ্রদ্ধার জন্য শহীদ মিনারে ফুল প্রদর্শন করে।
- ১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল বাঙ্গালীরা। আর তাজা রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের মাতৃভাষা।
- ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর আমরা যখন পাকিস্তানের মধ্য চলে আসি তখন আমাদের জোরপূর্বক উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
- মাতৃভাষা ব্যবহার করা মানুষের জন্মগত অধিকার। যেটা আমাদের থেকে কেঁড়ে নিতে চেয়েছিল পাকিস্তানিরা।
- একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের জন্য আজ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি।
- ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
- সকল ভাষা শহীদদের প্রতি আমরা অশেষ শ্রদ্ধা জানাই যারা বাংলা ভাষার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ দিয়েছেন।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিতে পারে। তবে চলুন জেনে নেই সেই সমস্ত সকল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো।
একুশের প্রথম গান কোনটি?
একুশের প্রথম গান হলো ‘ভুলব না, ভুলব না, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’। যার রচয়িতা ভাষা সৈনিক আ ন ম গাজিউল হক। ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আর্মানিটোলা ময়দানের জনসভায় গানটি গাওয়া হয়েছিল।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ কে?
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন রফিক উদ্দিন। তিনি ভাষা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে আনুমানিক দুপুর ৩.১৫ মিনিটে প্রথম শহীদ হন।
উপসংহার
সকল বাঙ্গালীর কাছে একুশে ফেব্রুয়ারি একটি স্মরণীয় দিন। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয় এবং সম্মান প্রদর্শনের জন্য শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষা কিংবা চাকরির পরীক্ষায় একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে তাই আগে থেকেই একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে পড়ে প্রস্তুতি শক্তিশালী করতে পারেন। এছাড়াও বিসিএস কিংবা সরকারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে ভাষা শহীদদের সম্পর্কে ১০টি বাক্য সম্পর্কে পড়েতে পারেন।
“একুশে ফেব্রুয়ারি সম্পর্কে ১০ টি বাক্য” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
Leave a Reply