মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের উত্তর দিন সহজেই। বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় প্রায়শই মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখতে ও বলতে বলা হয়। এছাড়াও আপনারা যারা এবছর বিসিএস সহ সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা মাদার তেরেসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি মাদার তেরেসা সম্পর্কে দশটি বাক্য নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করা হল।
মাদার তেরেসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
নারী জাগরণের অগ্রদূত ছিলেন মাদার তেরেসা। সারা বিশ্বের কাছে অতি পরিচিত ছিলেন মাদার তেরেসা। তিনি ছিলেন একজন ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী এবং খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক। তিনি ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট তারিখে মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপজে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ২৬ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেও ২৭ আগস্ট তারিখ তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ধরা হয় কারণ ওই তারিখে তার খ্রিস্টধর্মের দীক্ষা সম্পন্ন হয়েছিল। মাদার তেরেসার প্রকৃত নাম ছিল মেরি টেরিজা বোজাঝিউ। মাদার তেরেসার পিতা ও মাতার নাম ছিল যথাক্রমেঃ নিকোলো ও দ্রানা বয়াজু। নিকোলো ও দ্রানা বয়াজুর কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন মাদার তেরেসা। তাদের আদি নিবাস ছিল আলবেনিয়ার শ্কড্যর্ অঞ্চলে।
১৯১৯ সালে মাত্র আট বছর বয়সে তিনি পিতৃহীন হন। সরকারি স্কুলে পড়ার সময় থেকেই তিনি ধর্মযাজক সংগঠনে যোগ দিয়েছিলেন। ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় সন্ন্যাস জীবন যাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে যোগ দেন সিস্টার্স অফ লোরেটো সংস্থায়। এরপর ১৯২৮ সালে তিনি আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। জীবনের বাকি অংশ তিনি ভারতেই থেকে যান। এরপর তিনি অনেক সমাজ সেবামূলক কাজ করেন এবং সারা বিশ্বে খ্রিস্টধর্ম প্রচার করেন। মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পায় এবং ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন পুরস্কার লাভ করেন। মাদার তেরেসা ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ৮৭ বছর বয়সে মৃতুবরণ করেন।
মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
মাদার তেরেসা এমন একজন মহীয়সী নারী যিনি সমাজসেবার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। মাদার তেরেসা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যকেরই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। তবে চলুন জেনে নেই মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য।
- মাদার তেরেসার প্রকৃত নাম ছিল মেরি টেরিজা বোজাঝিউ।
- তিনি ছিলেন একজন আলবেনীয় বংশোদ্ভুত সন্ন্যাসিনী এবং খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক।
- মাদার তেরেসাকে একজন ভারতীয় হিসেবে মনে করা হলেও এই মহিয়সী নারী ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপজেতে জন্মগ্রহণ করেন।
- মাদার তেরেসা ছিলেন তার পিতা ও মাতার (নিকোলো ও দ্রানা বয়াজুর) কনিষ্ঠ সন্তান।
- মাদার তেরেসার আদি নিবাস ছিল আলবেনিয়ার শ্কড্যর্ অঞ্চলে।
- মাদার তেরেসা মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে যোগ দেন সিস্টার্স অফ লোরেটো সংস্থায়।
- ১৯৩৭ সালের ২৪ মে তারিখে তেরেসা ‘মাদার’ উপাধিতে ভূষিত হন।
- মাদার তেরেসা ১৯৭৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন সম্মান লাভ করেন।
- ১৯৫০ সালে মাদার তেরেসা কলকাতায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি নামে সেবা প্রতিষ্ঠান চালু করেন। সুদীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে তিনি গরীব, অসুস্থ, অনাথ, ও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের সেবা প্রদান করেছেন। প্রথমে ভারতে এই সেবা চালু হলেও পরে তিনি তাঁর এই মিশনারি কার্যক্রম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন।
- মাদার তেরেসা ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মাত্র ৮৭ বছর বয়সে মৃতুবরণ করেন।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য সম্পর্কে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তবে চলুন জেনে নেই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো-
মাদার তেরেসা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
বিশ্বখ্যাত সমাজসেবী মাদার তেরেসা ১৯১০ সালের ২৬ আগস্ট তৎকালীন মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপজে একটি আলবেনীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
মাদার তেরেসা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান কত সালে?
মাদার তেরেসা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ১৯৭৯ সালে। ১৯৮০ সালে তিনি ভারতরত্ন সম্মান লাভ করেন।
উপসংহার
বিশ্বখ্যাত সমাজসেবী মাদার তেরেসা সারাজীবন মানব কল্যাণে কাজ করেছেন। তাই আমাদের প্রত্যকের মাদার তেরেসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। বিসিএস সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় মাদার তেরেসা সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাই আগত চাকুরীর পরীক্ষার আগেই মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি দৃঢ় করতে পারেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ১০ টি বাক্য পড়তে পারেন।
“মাদার তেরেসা সম্পর্কে ১০ টি বাক্য” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!
Leave a Reply