জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দিন সহজেই। বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় প্রায়শই জাতীয় পতাকা সম্পর্কে বাক্য লিখতে ও বলতে বলা হয়। এছাড়াও চাকরির পরীক্ষায় “জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য বলুন?” এই প্রশ্ন অনেকবার এসেছে। তাই আপনি জাতীয় পতাকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি শক্তিশালী করতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে দশটি বাক্য নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করা হলো।
জাতীয় পতাকা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
লাল সবুজের পতাকা হলো আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক হলো সবুজ রং এবং বৃত্তের লাল রং উদীয়মান সূর্য, স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক। ১৯৭২ সালের ১৭ই জানুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় একই রকম দেখতে একটি পতাকা ব্যবহার করা হতো, যেখানে মাঝের লাল বৃত্তের ভেতর হলুদ রংয়ের একটি মানচিত্র ছিল। ১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা থেকে হলুদ রংয়ের ছোট্ট মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়। জাতীয় পতাকা থেকে হলুদ রঙের মানচিত্র সরিয়ে ফেলার অন্যতম কারণ ছিল উভয় পাশে সঠিকভাবে মানচিত্রটি ফুটিয়ে তোলা যেত না। তাই অসুবিধার কারণে লাল বৃত্তের ভেতর হলুদ রংয়ের মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ব্যবহৃত পতাকার উপর নির্ভর করেই বর্তমান বাংলাদেশের এই জাতীয় পতাকা নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য
জাতীয় পতাকা সম্পর্কে আমাদের প্রত্যকেরই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। তবে চলুন জেনে নেই জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য।
- সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত নিয়ে তৈরী করা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
- জাতীয় পতাকার সবুজ রং হলো বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক এবং বৃত্তের লাল রং হলো উদীয়মান সূর্য ও স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারীদের রক্তের প্রতীক।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে সরকারীভাবে গৃহীত হয়।
- আমাদের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত হলো ১০ : ৬ এবং দৈর্ঘ্য ও বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত ৫ : ১।
- ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসভায় তৎকালীন ছাত্রনেতা ডাকসু ভিপি আ.স. ম. আবদুর রব প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা (মানচিত্র খচিত) পতাকা উত্তোলন করেন।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিবস পালিত হয়- ২রা মার্চ তারিখে।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মানচিত্র খচিত পতাকার ডিজাইন করেছিলেন শিবনারায়ণ দাস।
- মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত পতাকায় লাল বৃত্তের মাঝে হলুদ রংয়ের একটি মানচিত্র ছিল এবং ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে পতাকা থেকে মানচিত্রটি সরিয়ে ফেলা হয়।
- বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হলেন কামরুল হাসান। তিনি বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ডিজাইন করেন।
- সরকারি-বেসরকারি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সম্মানের সাথে প্রতি কর্মদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তবে চলুন জেনে নেই সেই সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তরগুলো-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনারের নাম কি?
বর্তমান বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার হলেন কামরুল হাসান। বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত জাতীয় পতাকার ডিজাইন করেছিলেন শিবনারায়ণ দাস।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত কত?
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত ১০ : ৬ এবং দৈর্ঘ্য ও বৃত্তের ব্যাসার্ধের অনুপাত ৫ : ১।
উপসংহার
আমাদের বাংলাদেশের চির চেনা জাতীয় পতাকা রং হল লাল ও সবুজ। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যেমে আমাদের নিজস্ব জাতীয় পতাকা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তাই আমাদের প্রত্যকের জাতীয় পতাকা সম্পর্কে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। বিসিএস সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় জাতীয় পতাকা সম্পর্কে দশটি বাক্য লিখতে বা বলতে বলা হয়। তাই আগত চাকুরীর পরীক্ষার আগেই জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি দৃঢ় করতে পারেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য পড়তে পারেন।
“জাতীয় পতাকা সম্পর্কে ১০টি বাক্য” এই বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ।
Leave a Reply