স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য অবশ্যই জানা উচিত। বিগত বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন এসেছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং দীর্ঘতম সেতু হল পদ্মা বহুমুখী সেতু। পদ্মা সেতু দীর্ঘ সময় ধরে এবং বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু ব্যবহার করার মাধ্যমে খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দ্রুত সময়েই যেতে পারছে।
বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় “স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য লিখ?” অনেকবার এমন প্রশ্ন এসেছে। আপনার আগত বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পূর্বেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে জেনে নিন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য জানার পূর্বে পদ্মা সেতু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা নেওয়া যাক-
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতু হচ্ছে বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। পদ্মা বহুমুখী সেতু হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ সেতু। বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়া বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি হওয়ার মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা পরস্পর সংযুক্ত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের ২১ টি জেলা পদ্মা সেতু ব্যবহার করে সুবিধা লাভ করতে পারে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত করতে ৪২ টি পিলার এবং ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ২ টি স্তরের মধ্যে উপরের স্তরে রয়েছে ৪ লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে রয়েছে রেল পথ।
২৫ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ উন্নতিতে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেইসাথে অর্থনৈতিকভাবেও। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হওয়ার মাধ্যমে যাতায়াত ভোগান্তি এবং যাতায়াতের সময় নষ্ট হচ্ছে কম। স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য নিচে তুলে ধরা হলো-
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য
- বাংলাদেশের বৃহৎ সেতুর নাম হল পদ্মা বহুমুখী সেতু।
- পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ এবং বিশ্বের ১২২ তম দীর্ঘ সেতু।
- ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়।
- ২৫ জুন ২০২২ খ্রিস্টাব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করেন।
- স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
- স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ৪২ টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্প্যান ব্যবহার করা হয়।
- স্বপ্নের পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জ জেলার মাওয়া এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা কে পরস্পর সংযুক্ত হয়েছে।
- চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান।
- পদ্মা সেতুর ২ টি স্তরের মধ্যে উপরের স্তরে রয়েছে ৪ লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে রেলপথ।
- পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেইসাথে অর্থনৈতিকভাবেও।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তর।
পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু?
স্বপ্নের পদ্মা সেতু বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু গুলোর মধ্যে ১২২ তম অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
পদ্মা সেতুর পিলার কয়টি?
স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরিতে ৪২ টি পিলার এবং ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১ টি স্প্যান বসানো হয়েছে। পদ্মা সেতুর রয়েছে ২ টি স্তর। উপরের স্তরে রয়েছে ৪ লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরে রয়েছে রেলপথ।
উপসংহার
নিঃসন্দেহে পদ্মা সেতু বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে পদ্মা সেতু তৈরি করা সত্যিই অনেক বেশী কঠিন ছিল। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী উদাহরণ।
“স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে ১০টি বাক্য” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!
Leave a Reply