মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে আগত বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি দৃঢ করতে পারেন। ঢাকায় বসবাসরত মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে নির্মিত শহরভিত্তিক রেল ব্যবস্থায় হল ঢাকা মেট্রোরেল। ঢাকা মেট্রোরেল প্রতিস্থাপন হওয়ার ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে যাতায়াত করা যায়।
বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি সহ প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ‘মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখ?‘ এ বিষয়ে বিগত পরীক্ষায় একাধিকবার প্রশ্ন এসেছে। তাই চাকরির প্রস্তুতি দৃঢ করতে মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য অবশ্যই পড়া উচিত। মেট্রোরেল সম্পর্কে দশটি বাক্য জানার পূর্বে মেট্রোরেল সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক-
মেট্রোরেল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থার নাম ঢাকা মেট্রোরেল। এছাড়াও ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোরেল হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজেক্ট। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সর্বপ্রথম মেট্রোরেল চালু হয়। ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। ঢাকার যানজট নিরসনে মেট্রোরেল অত্যন্ত কার্যকর। মেট্রোরেলের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবে অল্প সময়ে এবং সহজেই। ঢাকা মেট্রোরেল বিদ্যুতের মাধ্যমে দ্রুত চলে তাই যাতায়াতে মানুষের অনেক সময় বাঁচবে।
ঢাকা মেট্রোরেল অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত এবং যাত্রীগণ সহজে তাদের গন্তব্যস্থলে নিরাপদে পৌঁছাতে পারে। ঢাকায় মেট্রোরেল হওয়ার ফলে ঢাকাবাসীরা দ্রুত সময়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব সহজে এবং যানজটমুক্ত ভাবে যেতে পারে। মেট্রোরেল তৈরীর মাধ্যমে বাংলাদেশ উন্নতিতে একধাপ এগিয়ে গেছে এবং কিছুটা হলেও ঢাকাবাসীদের যানজটের ভোগান্তি কমেছে।
মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থার নাম ঢাকা মেট্রোরেল।
- ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোরেল হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজেক্ট।
- যানজট নিরসনে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সর্বপ্রথম মেট্রোরেল চালু হয়।
- ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ ২৬ জুন, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে উদ্বোধন করা হয়।
- ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ খ্রিস্টাব্দে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন।
- আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেট্রোরেলের নাম “ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট” বা সংক্ষেপে এমআরটি।
- ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের বাজেট ৩৩,৪৭১.৯৯ কোটি টাকা যার অর্থায়নে ছিল জাইকা (৭৫%) ও বাংলাদেশ সরকার।
- মরিয়ম আফিজা হলেন ঢাকা মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক ।
- মেট্রোরেলের বিদুৎ জোগানের জন্য উপকেন্দ্রের সংখ্যা ৫টি এবং প্রকল্পের ধাপ বা প্যাকেজ সংখ্যা ৮টি।
- প্রাথমিক স্তরে মেট্রোরেলের স্টেশনের সংখ্যা ১৬ টি এবং ট্রেন সংখ্যা ২৪ টি।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন-উত্তর সমূহ
মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সকল প্রশ্ন ও উত্তর।
মেট্রোরেলের প্রতি ঘণ্টায় যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা কত?
মেট্রোরেলের প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার জন যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও প্রতি ১০ মিনিট পরপর ট্রেন আসবে।
মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা কয়টি?
ঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশন সংখ্যা ১৬ টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে, শেওড়াপাড়া, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, উত্তরা, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।
উপসংহার
মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে রাখতে পারেন। বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য মেট্রোরেল সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান পড়ে প্রস্তুতি নিতে পারেন।
“মেট্রোরেল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!
Leave a Reply