ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে আগত বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি দৃঢ় করতে পারেন। তাছাড়াও অধিকাংশ চাকরির ভাইভাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু বলতে বলা হয়। বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় “ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য লিখুন?” এই প্রশ্ন-টি অনেকবার এসেছে। তাই আপনারা যারা এবছর বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পড়ে জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি বাক্য নিয়েই সাজানো হয়েছে। তাই আপনি আজকের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণকে বোঝায় ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ পরিকল্পনার কথা সর্বপ্রথম আসে ২০০৮ সালে। ১২ ডিসেম্বর, ২০০৮-এ, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্লেখ করেছিলেন যে, বাংলাদেশ ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনাটির মূল লক্ষ্য ছিল, একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী, রূপান্তরিত উৎপাদনব্যবস্থা, নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি – সর্বোপরি একটি জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠন করা। বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম সক্রিয় অবস্থায় আছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকার প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। বিসিএস কিংবা চাকরির ভাইভা পরীক্ষার প্রস্তুতি স্বরূপ ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। তবে চলুন জেনে নেই ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প কার্যক্রম-টি উদ্বোধন হয়েছিল ২০০৮ সালের ১লা জুলাই।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার চারটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন,আর সেগুলো হলো: মানব সম্পদ উন্নয়ন, জনগণের সম্পৃক্ততা, সিভিল সার্ভিস এবং দৈনন্দিন জীবনের তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ মন্ত্রণালয়য়ের প্রধান হলেন মোস্তাফা জব্বার এবং ব্যক্তিত্ব রয়েছেন জুনাইদ আহমদে পলক।
- ২০০৯ সালের ১২ থেকে ১৭ নভেম্বর ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি’ ‘Digital Bangladesh Summit’ নামক বিষয়ে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে, যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা এবং অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়।
- বাংলাদেশ সরকারের সকল তথ্য পাওয়ার জাতীয় ওয়েব পোর্টাল হলো www.bangladesh.gov.bd ।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার পরিকল্পনা করছে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হবে।
- বাংলাদেশের সকল জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার বিভিন্ন স্থানে ‘টেলিমেডিসিন সেবাকেন্দ্র’ তৈরি করেছে। যেখান থেকে সহজেই সাস্থ্যসেবা গ্রহণ করা যাবে।
- ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে আয়করদাতারা আয়করের হিসাব করতে পারবে এবং অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও দাখিল করতে পারবে।
- ইন্টারনেটে বাংলা তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য বাংলাদেশের দক্ষ প্রযুক্তিবিদরা তৈরি করেছিল দেশের প্রথম নিজস্ব বাংলা সার্চ ইঞ্জিন পিপীলিকা। বর্তমানে পিপীলিকা সার্চ ইঞ্জিন বন্ধ আছে।
বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য এই বিষয়ে আপনার মনে কতিপয় প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর।
ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করা হয় কবে?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর তারিখে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে’ পরিণত হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক কে?
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রবর্তক হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপসংহার
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি স্বাধীন ওসার্বভৌম রাষ্ট্র হলো বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হলো একটি উন্নত দেশ, সমৃদ্ধ ডিজিটাল সমাজ, নতুন জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিও একটি জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দেশ গঠন করা। তাই আমাদের প্রত্যকের ডিজিটাল বাংলাদেশে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে রাখা প্রয়োজন। চাকরি কিংবা প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় ডিজিটাল বাংলাদেশে সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়। তাই আগত চাকুরীর পরীক্ষার আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য পড়তে পারেন।
“ডিজিটাল বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!