বাংলাদেশের নদের তালিকা সমূহ

List of Rivers in Bangladesh

সর্বশেষ আপডেটঃ

/

ক্যাটাগরিঃ

,

বাংলাদেশের নদের তালিকা জেনে আপনি বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি দৃঢ় করতে পারেন। বিগত সালের পরীক্ষাগুলোতে বাংলাদেশের নদ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন এসেছে। তাই আপনারা যারা এবছর বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা বাংলাদেশের নদের সংখ্যা কয়টি? নদ কাকে বলে? সহ কতিপয় প্রশ্নের উত্তর চাকরির পরিক্ষার প্রস্তুতি স্বরূপ জেনে রাখতে পারেন। আজকের এই পোস্টটি বাংলাদেশের নদ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেই সাজানো হয়েছে। তাই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।

বাংলাদেশের নদ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য

যখন কোনো নদী হতে কোনো শাখা নদীর সৃষ্টি হয় না, তখন তাকে সাধারণত নদ বলা হয়। জল্ধারার বৈশিষ্ঠ্য দিক হতে নদ-নদীর কোন পার্থক্য নেই। তবে নদ-নদীর পার্থক্য রয়েছে কেবল নামের পার্থক্য। অর্থাৎ যেসব জল্ধারার নাম পুরুষ বাচক সেগুলোই হলো নদ যেমন:ব্রহ্মপুত্র নদ, আড়িয়াল খাঁ নদ, কপোতাক্ষ নদ, তুরাগ নদ।

বাংলাদেশের নদের তালিকা সমূহ

বাংলাদেশের নদ সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। বিসিএস কিংবা সরকারি -বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাংলাদেশের নদের তালিকা সম্পর্কিত নানা ধরনের প্রশ্ন আসে। তাই আপনারা যারা এবছর চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। তারা বাংলাদেশের নদ সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন পড়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী শক্তিশালী করতে পারেন। নিচে বাংলাদেশের মোট ৪ টি নদের তালিকা বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

১। ব্রহ্মপুত্র নদ

এশিয়া মহাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদ হলো ব্রহ্মপুত্র নদ। সংস্কৃত ভাষায় ব্রহ্মপুত্র নদ-কে ব্রহ্মার পুত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের নদের পূর্ব নাম ছিল লৌহিত্য। ব্রহ্মপুত্রের উৎপত্তি হিমালয় পর্বতমালার কৈলাস শৃঙ্গের নিকট জিমা ইয়ংজং হিমবাহে, যা তিব্বতের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। ব্রহ্মপুত্র নদ চীন, ভারত ও বাংলাদেশ এই তিনটি দেশকে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশে, ব্রহ্মপুত্র তার বৃহত্তম উপ-নদীগুলির মধ্যে একটি তিস্তা নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়। তিস্তার নিচে ব্রহ্মপুত্র দুইটি বিভক্ত শাখায় বিভক্ত। পশ্চিম শাখা, যা নদীর প্রবাহের বেশিরভাগ অংশ নিয়ে গঠিত, দক্ষিণে যমুনা নিম্ন গঙ্গার সাথে মিশে যাওয়ার কারণে প্রবাহ দক্ষিণে অব্যাহত রয়েছে, যাকে বলা হয় পদ্মা নদী। এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঢাকার নিকটবর্তী মেঘনা নদীতে যোগ মিলিত হয়, এর পর পদ্মা এবং মেঘনা চাঁদপুরের কাছাকাছি গিয়ে মিলিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়েছে। ব্রহ্মপত্র নদের দৈর্ঘ্য ২,৮৫০ কিলোমিটার ও অববাহিকা ৬,৫১,৩৩৪ বর্গকিলোমিটার।

২। আড়িয়াল খাঁ নদ

ফরিদপুর, মাদারীপুর ও বরিশাল জেলার একটি নদ হচ্ছে আড়িয়াল খাঁ নদ। এটি পদ্মা নদীর একটি প্রধান শাখা নদ। বেশ কয়েক বছর আগে নদটি নাম ছিল ভুবনেশ্বর। এরপর ১৮০১ সালে আড়িয়াল খাঁ নামক একজন জমাদার গভর্ণমেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত হয় ঠগি দমনের জন্য। ভুবনেশ্বর নদ থেকে একটি খাল খনন করিয়ে তা প্রাচীন পদ্মার দক্ষিণাংশের সঙ্গে সংযুক্ত করিয়ে দেওয়া হয়। এটিই পরবর্তীতে মানুষের কাছে আড়িয়াল খাঁ নদ নামে পরিচিতি লাভ করে। আড়িয়াল খাঁ নদটির দৈর্ঘ্য ১৫৫ কিলোমিটার ও গড় প্রস্থ ৩০০ মিটার।

৩। কপোতাক্ষ নদ

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বড় নদ হলো কপোতাক্ষ নদ। এটি বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের উৎপত্তি স্থল হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এবং এটি পরে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলায় ভৈরব ও কপোতাক্ষ দুটি শাখায় বিভক্ত হয়ে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় কাছে শিবসা নদীতে গিয়ে পতিত হয়েছে। কপোতাক্ষ নদের দৈর্ঘ্য ২৩৮ কিলোমিটার এবং গড় প্রস্থ ১৫০ মিটার ও গভীরতা ৩.৫ থেকে ৫ মিটার।

৪। তুরাগ নদ

বাংলাদেশের ঢাকা ও গাজীপুর জেলার অন্যতম নদ হলো তুরাগ নদ। এই নদটির দৈর্ঘ্য ৬২ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৮২ মিটার এবং নদটির আকৃতি সর্পিলাকার। এটি ঢাকা শহরের সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া চারটি নদীর মধ্যে একটি। এই নদের গভীরতা ১৩.৫ মিটার। তুরাগ নদের আয়তন ১ হাজার ২১ বর্গ কিলোমিটার। সারা বছরই এই নদের পানিপ্রবাহ থাকে। জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পানিপ্রবাহ কম থাকে।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

বাংলাদেশের নদের তালিকা নিয়ে আপনার মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। তাহলে চলুন জেনে নেই সেই সকল প্রশ্নের উত্তর।

বাংলাদেশের নদ কয়টি ও কি কি?

বাংলাদেশের পধান নদের সংখ্যা চারটি। যথাক্রমে- ব্রহ্মপুত্র নদ, আড়িয়াল খাঁ নদ, কপোতাক্ষ নদ ও তুরাগ নদ।

বাংলাদেশের র্দীঘতম নদের নাম কি?

বাংলাদেশের র্দীঘতম নদ হলো ব্রহ্মপুত্র নদ।

উপসংহার

বাংলাদেশের নদ সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন। আপনারা যারা বিসিএস কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় প্রস্ততি নিচ্ছেন তারা বাংলাদেশের নদের তালিকা জেনে পরীক্ষার প্রস্তুতি আরও বেশী দৃঢ় করতে পারেন। এছাড়াও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শক্তিশালী করতে যমুনা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান পড়তে পারেন।

“বাংলাদেশের নদের তালিকা সমূহ” এ বিষয়ে আপনার যদি কিছু জানার থাকে তবে আপনি এই পোস্টের নিচে মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও এই পোস্ট-টি তথ্যবহুল মনে হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *